হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকদের তথ্য তার প্যারেন্ট কোম্পানী ফেইসবুকের সাথে শেয়ার করবে বলে প্রাইভেসী পলিসিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেয়ার পর বিশ্বজুড়ে অন্য অ্যাপে সুইচ করার হিড়িক পড়ে যায়। সেখানে সিগনাল, টেলিগ্রাম এবং বিপ সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়তা পায়।
এই তিনটি ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ তাদের চ্যাট এবং কল ফিচার এনক্রিপ্টেড রাখায় গ্রাহকদের তথ্য তাদের কাছে নিরাপদ থাকছে।
চ্যাটের এনক্রিপশন ফিচার থাকায় কোম্পানী গুলো নিজেরাও গ্রাহকদের চ্যাট দেখতে পারবে না।
টেলিগ্রামের সিক্রেট চ্যাট ফিচারে স্ক্রীনশট নেয়া যায় না। কোনো ডিভাইস যদি নিতে সক্ষম হয়, সাথে সাথে অন্যপ্রান্তের ব্যক্তিকে জানিয়ে দেয়া হয় স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে।
তিনটি অ্যাপেই দেখা মাত্র নিজে নিজে মেসেজ গায়েব হয়ে যাওয়ার ফিচার রয়েছে। এরজন্য নির্দিষ্ট সময় সীমা ঠিক করে দেয়া যায়।
সিগনাল এবং বিপে চ্যাট ব্যাকআপও এনক্রিপ্টেড। ফলে অন্য কারো সেটা দেখার সুযোগ নেই।
হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা বিলিয়নিয়ার ব্রায়ান একটন হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে দিয়ে সিগনাল প্রতিষ্ঠা করেন। যা সম্পূর্ণ ডোনেশনের উপর নির্ভরশীল।
ব্রায়ান নিজে সিগনাল ফাউন্ডেশনে ৫০ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন।
অন্যদিকে টেলিগ্রাম রাশিয়ান সোশ্যাল মিডিয়া VKএর প্রতিষ্ঠাতা বিলিয়নিয়ার পাভেল দুরভের।
তুর্কী টেলিকম জায়ান্ট তুর্কসেলের মালিকানাধীন ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ বিপ।
টেসলা এবং স্পেস এক্সের সিইও এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী ইলন মাস্ক সিগন্যাল অ্যাপ ব্যবহারের কথা বলে টুইট করার পর এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়।
আর বিপ এবং টেলিগ্রাম নিয়ে পোস্ট করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান।
অ্যাপটি বাংলাদেশের গুগল প্লে স্টোরে ৯২ ধাপ এগিয়ে এক নাম্বারে চলে আসে।
অন্যান্য অ্যাপের চেয়ে বিপের স্পেশাল ফিচার হচ্ছে এটি খুব কম স্পীডের নেটেও স্মুথ অডিও এবং ভিডিও কল কোয়ালিটি দিতে পারে।
এছাড়াও এই অ্যাপটি ১০৬টি ভাষায় ইন্সট্যান্ট ট্রান্সলেশন করতে পারে।
ফলে পৃথিবীর সম্পূর্ণ আলাদা দুই ভাষার দুইজন মানুষ নিজের ভাষায় চ্যাট করতে পারবে।
অর্থাৎ একজন জাপানীকে একজন বাঙালী বাংলায় লিখলে সেটা জাপানী ভাষায় অনুদিত হয়ে তার কাছে যাবে। একইভাবে জাপানী ভাষায় রিপ্লাই দিলে সেটা বাংলায় আসবে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে গ্রাহক হানি ঠেকাতে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নতুন প্রাইভেসী পলিসি ১৫ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছে।
তাহমিদুল ইসলাম: টেক অ্যান্ড গেজেট বিষয়ক লেখক